দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান। জামিন পেলেন আরিয়ান খান। তিনি ও তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত আরও দু’জন আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচাকে জামিনে মুক্ত করেছে মুম্বই হাই কোর্ট। মঙ্গলবার ও বুধবার পরপর দুদিন আরিয়ান খানের (Aryan Khan) জামিনের শুনানি স্থগিত রাখেন বিচারপতি নিতিন সাম্বর। বৃহস্পতিবার ফের শুরু হয় শুনানি। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে অবশেষে মুক্তি মেলে তিনজনের। জানা গিয়েছে যে, শুক্রবার এই তিন জনকে জামিন দেওয়ার কারণ সবিস্তার জানাবে হাই কোর্ট।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার এনসিবি তাঁদের বক্তব্য পেশ করে বম্বে হাইকোর্টে। অনিল সিং আদালতে জানান, আরিয়ানের কাছে থেকে মাদক পাওয়া না গেলেও আরবাজের কাছে থেকে পাওয়া গেছে এবং আরিয়ানই তাঁদের বলেছে যে পার্টিতে মাদক সেবনের পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। এমনকি আরিয়ানের চ্যাট থেকে কমার্শিয়াল কোয়ান্টিটি মাদক কেনার সূত্র পাওয়া যায় বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে, মুকুল রোহাতগি এদিন আদালতে বলেন, আরিয়ানের সঙ্গে আটক হওয়া যে পাঁচজনের থেকে মাদক পাওয়া গেছে তার দায় আরিয়ানের উপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে আটক করা হয়েছিল আরিয়ানকে। তার পর ৩ তারিখ তাঁকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। মোট দু’বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। মাদক-মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে, আরিয়ানের মুক্তিকে কেন্দ্র করে যে দীপাবলির আগেই ‘মন্নত’-এ আপাতত স্বস্তির শ্বাস পড়ছে একথা বলাই বাহুল্য