জোর কদমে তদন্ত চালাচ্ছে বিহার পুলিশ । জেরা করা হচ্ছে একের পর এক সকলকেই । সুশান্তের প্রাক্তন দেহরক্ষীকেও জেরা করা হয় এবং সেখান থেকে সামনে উঠে আসে এক নয়ুন তথ্য । ‘সুশান্তের সবকিছুর উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে ফেলেছিলেন রিয়া । সুশান্ত প্রায় কখনওই কোনও হাই-প্রোফাইল পার্টির আয়োজন করতেন না । সুশান্তের টাকায় সে সবই করত রিয়া ও তাঁর পরিবার । এমনকি রিয়ার ভাই শৌভিক তার বন্ধুদের নিয়ে এসে সুশান্তের বাড়িতে পার্টি করতেন । সব খরচ দিতেন সুশান্ত । সুশান্ত তাঁর বান্ধবী রিয়ার সঙ্গে ইউরোপ ট্যু্রে যাওয়ার পর থেকেই শুরু অশান্তির । সেখানে কি হয়েছিল তা জানা না গেলেও ট্যুর থেকে ফেরার পর সেদিন অজ্ঞান ছিলেন সুশান্ত । সারাদিন অজ্ঞান অবস্থায় নিজের ঘরে শুয়েছিলেন সুশান্ত । সুশান্তের ওষুধ সবসময় তিনিই কিনতে যেতেন । রিয়া এবং রিয়ার পরিবার সুশান্তের সমস্ত পুরনো স্টাফদের ছাঁটাই করে দিয়েছিলেন । এমনকি তাঁকেও ছাঁটাই করে দেওয়া হয় লকডাউন শুরুর ঠিক আগেই । রিয়ার মানিকার্ড ছিলেন সুশান্ত । সুশান্তের পরিবারের কাউকেই কাছে ঘেঁষতে দিতেন না রিয়া । আগে সুশান্তের বড় দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং মাঝেমধ্যেই এসে থাকতেন ভাইয়ের সঙ্গে । কিন্তু পরে তাও বন্ধ হয় যায় ।’ এমনটাই জানিয়েছেন সেই দেহরক্ষী ।
