শান্তিকুঞ্জের কাছে মাঠে কোনো জটলা করা চলবে না, আইন মেনে সভা করতে হবে, শব্দবিধি মেনে মাইকের ব্যাবহার করতে হবে। সাফ জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। বিচারপতির নির্দেশ শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীর অনুমতি ছাড়া কেউ শান্তিকুঞ্জে প্রবেশও করতে পারবে না। সভা সমাবেশের নামে কারোর ব্যক্তি স্বাধীনতা যাতে খর্ব না হয় সেটা দেখতে হবে। নির্দেশ মানা হয়েছে কিনা তা আদালতের পরবর্তী শুনানিতে জানাবেন স্থানীয় পুলিশ ও উক্ত জেলার পুলিশ সুপার।
রাত পোহালেই শনিবারের যুযুধান। একদিকে প্রভাতকুমার মাঠ আর অন্য দিকে ডায়মন্ডহারবারের লাইট হাউজের মাঠ, শনিবারের সভা ঘিরে চুড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে দুটি জায়গাতেই। জেলা জুড়ে চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ থেকে শুরু করে মাইকের প্রচার, মিছিল, দেওয়াল লিখন, ব্লক স্তরের বৈঠক প্রভৃতি। এরমধ্যে সভা ঘিরে বাকবিতণ্ডা এবং রাজনৈতিক তড়জাও তুঙ্গে। অভিষেকের সভায় প্রায় ১ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে বলে দাবী করছে রাজ্য সরকার। অপরদিকে লাইট হাউজের মাঠে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের জমায়েত করাবে বলে আশাবাদী বিজেপি। বিভিন্ন জায়গা থেকে যাতে অভিষেকের সভায় কর্মী সমর্থকরা যোগদান করতে পারে তাঁর জন্য প্রচুর বাস, অটো, মোটরবাইক প্রভৃতির পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা রেখেছে তৃণমূল সরকার।
শনিবারের সভা নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, ‘শুভেন্দুর গড় বলে অপব্যাখা করা হচ্ছে। সভা অয়াটকাতে না পেরে অবশেষে শুভেন্দু অভিষেক ফোবিয়ায় ভুগে পাগলামো করছেন’। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ে বিজেপির নাচানাচি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের পালটা কটাক্ষ, ‘যেখানে কোনো গণতন্ত্র নেই, পুলিশ দিয়ে বিরোধীদের ঠেকানো হয়, সেখানে আমরা সমাজ বিরোধী নই যে ওদের মতো গায়ের জোড়ে লড়ব। আমরা আইন দিয়ে লড়ি। এই আইনই ওদের জেলের ভাত খাওয়াচ্ছে।‘
আরও পড়ুন