আগামী সপ্তাহের শুরুতেই জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনকে ডেকে পাঠালো আয়কর দপ্তর। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে দপ্তরে আসতে বলা হয়েছে তৃণমূল নেতাকে। সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে গত পাঁচ বছরের আয়ের নথিপত্র এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
বুধবার ম্যারাথন তল্লাশির পর জাকির হোসেনের হেফাজত থেকে ১১ কোটি নগদ উদ্ধার করে আয়কর দফতর। বাড়ি, অফিস থেকে নগদ কোটি-কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। যদিও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে আয়কর দপ্তর তলব করেছে বলেই অভিযোগ করেন জাকির হোসেন।
তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা আয় বহির্ভূত কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। বিধায়ক বলেন, “১১ কোটি পেয়েছেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। আমি ব্যবসা করি। এটা পরিশ্রমের টাকা। সব হিসাব দিয়ে দেব”। জঙ্গিপুরের বিধায়কের দাবি, শ্রমিকদের বেতন ও চাষিদের ফসলের দাম বাবদ তাঁর কাছে রাখা ছিল এই টাকা। যদিও জাকির হোসেনের বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন