নিয়োগ দুর্নীতিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে। আরও এক কোটি ৪০ লক্ষ টাকা চাকরিপ্রার্থীদের থেকে এসেছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এই টাকা এসেছে আরও নয়া ২৬ জন চাকরিপ্রার্থীদের থেকে। রিমান্ড লেটারে উল্লেখ, ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, শান্তনুর বাড়ি থেকে যে ৩০০ জনের লিস্ট পাওয়া গিয়েছিল, তাদের ছাড়াও আরও ২৬ জন চাকরিপ্রার্থীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
তদন্ত করতে গিয়ে ইডি জানতে পেরেছে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁদের কাজ করাত, তাদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে রেখেছিল এবং তাঁদের অজান্তে চেক বুকে সই করিয়ে নিয়ে টাকা নয়ছয় করত। ইডি তদন্তে উঠে এসেছে, শান্তনু নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কালো টাকা সাদা করার জন্য অন্যদের কোম্পানি ব্যবহার করেছে। এবং সেখানে থেকে টাকা ঘুরিয়ে সুবিধাপ্রদানকারীদের কাছে পৌঁছাত টাকা।
বুধবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আলিপুর আদালতে তোলা হলে শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের ১৭ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ইডির বিশেষ আদালত। ইডি সূত্রে খবর, লোটাস কনস্ট্রাকশন নামে অন্য একজনের কোম্পানিকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে টেন্ডার পাইয়ে দিত। এবং সেই কোম্পানির অ্যাকাউন্টকে কালো টাকা সাদা করার জন্য ফান্ড রুট হিসাবে ব্যবহার করত শান্তনু।