দেশজুড়ে করোনার দাপটে দিশেহারা সকলেই| হাসপাতালের বেড, অক্সিজেন এবং চিকিৎসাব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে| স্তূপাকৃত লাশ জমা হচ্ছে শ্মশানে, সময়মতো সৎকারও হচ্ছে না| এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে রোজা রেখেই এসেছেন মৃতদেহ সৎকার করতে| সকলেই মুসলিম ওঁরা, কিন্তু সম্প্রীতির বার্তা দেখিয়ে মৃতদেহের ধর্ম হিন্দু কি মুসলিম সেসব না দেখেই দাহ করছেন। করোনাবিধি মেনে পিপিই কিট পরে তাঁরা মৃতদের দেহ সৎকারে এগিয়ে এসেছেন|এমনই ঘটনার নজির দেখা গেল লখনউয়ে, মৃতদেহ সৎকারের দলে রয়েছে ২২ জন| মূলত, পরিবারের সদস্যরা সৎকার সম্পন্ন না করলে তারাই হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে মৃতদেহকে আগুনে পোড়ানো বা কবর ও দিচ্ছেন|গতবছর ও করোনা পরিস্থিতিতে তাঁরা এমন কাজ করেছেন।মৃতদেহ সৎকার করার দলের একজন ইমদাদ বলেছেন, “গত ২১ এপ্রিল একটি ফোন আসে। ভারতনগরের সীতাপুরের বাসিন্দা এক মহিলার করোনায় মৃত্যুর কথা জানান, তাঁরই এক প্রতিবেশী। মহিলা একাই থাকতেন। মৃত্যুর পর তিন দিন বাড়িতেই পড়ে ছিল দেহ। প্রতিবেশীরা সাহস পাচ্ছিলেন না। আমরা গিয়ে ওই মহিলার শেষকৃত্য সম্পন্ন করি।”এছাড়াও তিনি বলেছেন, “আমাদের এক সদস্য সিরাজের বন্ধুর মৃত্যু হয় করোনায়। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা ভাইরাসের ভয় পাচ্ছিলেন। সিরাজ প্রয়াগরাজ গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই বন্ধুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন|” তাঁদের উদ্দেশ্য এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষজনের পাশে দাঁড়াতে চান তাঁরা| এই কঠিন পরিস্থিতিতে যেকোনো জাতি, ধৰ্ম মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়ে যে সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়|
রোজা রেখেই করোনার মৃতদেহ সৎকারে একদল যুবক । এম ভারত নিউজ
Read Time:2 Minute, 30 Second