ডিএলএড কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠল। পর্ষদের কড়া সাবধানতা পরও আজ সোমবার প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বলে জানা গিয়েছে। যার ওপরে লেখা ছিল ‘ডিএলএড- পার্ট টু এক্সামিনেশন’। পরীক্ষার পর, ওই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে তাদের প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল রয়েছে বলে ছাত্রছাত্রীরা দাবি করেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘পর্ষদ তথা রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এমনটা কেউ করেছে। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যদি এমন কোনও বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেন, তাহলে তাতে পর্ষদের কিছু করার নেই। তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পর্ষদ আগামী দিনে কোনও কড়া সিদ্ধান্ত নিলে, পরীক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না।’’
তবে পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না, এ নিয়ে কিছু জানাননি তিনি। নিয়ম মেনেই পরীক্ষা হয়েছে বলে দাবী তাঁর। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই তৎক্ষণাৎ পর্ষদের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়।
ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি কালো টাকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে পর্ষদের পাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, তাঁর ছেলে সৌভিক সমেত তাপস মণ্ডল প্রমুখদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবী, বিগত চার বছর ধরে টেটের জন্য ডিএলএড প্রশিক্ষণে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়া হয়েছে। মূলত ডিএলএড কলেজগুলিতে অফলাইনে ভর্তির জন্য বিপুল অর্থ নেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের কাছ থেকে। এরমধ্যে সেই ডিএলএড-রই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় আরও নতুন রসদ যোগ হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে।
আরও পড়ুন