নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের ৪২ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিল করার কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। এদিন তিনি বলেন ‘আমি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।‘ মূলত ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষা অনুযায়ী ২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্যানেল বানানো হয়েছিল। আর এই প্যানেলের ভিত্তিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরির আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন ১৪০জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী।
তখনকার নিয়ম অনুযায়ী চাকরির জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স বাধ্যতামূলক ছিল না। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে দাবী করেছেন মামলাকারী প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে যে ওই মামলাকারী প্রার্থীদের থেকেও কম নম্বর পেয়েছে এমন অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী নিয়োগপত্র পেয়েছেন। এদিন বিচারপতি অভিজিৎগাঙ্গুলি বলেন, মানিক ভট্টাচার্য পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা নেই বলে চাকরি পাননি এই মামলাকারিরা ।
পাশাপাশি এদিন শিক্ষক দুর্নীতিতে আরও নজিরবিহীন কারচুপি হয়েছে বলে তাঁর দাবী। ১৮৩-র পর এবার নবম-দশমে আরও ৪০ টি নতুন ভুয়ো সুপারিশের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত তালিকার সংখ্যা ২২৩-এ দাঁড়িয়েছে। আর এই নতুন ৪০ OMR শিট এসএসসি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। বেআইনি চাকরি সুপারিশের প্রমাণ দেখে বিচারপতি বলেন, “এটা কোন ভুতের কাজ নয়, কমিশনের অফিসে যারা কাজ করেন তারাই এই দুর্নীতির কাজ করেছেন।”
আরও পড়ুন