বাংলা জয়ের মূল কান্ডারী হিসেবে চিহ্নিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব পেয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। আর তারপর এই প্রথম ভিন রাজ্য সফরে ত্রিপুরায় এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রথম সফর খুব একটা সুখকর হয়নি সর্বভারতীয় সম্পাদকের পক্ষে। বারংবার দফায় দফায় হামলা হয়েছে অভিষেকের গাড়ির উপর তবে দমে যাওয়ার পাত্র নন তিনি। ” আগামী দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় উন্নয়নের সরকার গড়বে তৃণমূল। ধমকে চমকে লাভ হবে না। এসব তৃণমূলকে আরো তাতাবে” গর্জে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা জয়ের পর তৃণমূলের লক্ষ্য এখন ভারত জয়। সেই উদ্দেশ্যেই ত্রিপুরায় এসে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করতে ছাড়লেন না অভিষেক। তিনি বললেন “দিল্লি গুজরাট থেকে এখানকার সরকার চলছে। এখানকার মানুষ কি চায় তা তারা বোঝেন না। তাই তৃণমূলকে দেখে ভয় পাচ্ছে।”

ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্ব আসার আগেই নাকি আইপ্যাড সদস্যদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল আর সেই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন অভিষেক। বলেছেন, ” ২০১৬ সালের আমি এর আগে এসেছি। মানিকবাবুর তখন সরকার ছিল। কিন্তু রাজ্যের অবস্থা অতটাও খারাপ ছিলনা। রাজ্যবাসীর নতুন দিনের স্বপ্ন দেখে বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিল। কিন্তু তারা বুঝিনি খাল কেটে কুমির আনছে।” আর তারপরেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন ত্রিপুরাবাসীর দিকে। বললেন, ” এ রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিন সরকার নাকি বাংলার সিঙ্গেল ইঞ্জিন সরকার, কাকে বেছে নেবেন তারা? আজই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদের।” এখানেই শেষ নয় রাজ্যের বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অভিষেক বললেন, ” পারলে নিজের পায়ের তলার মাটি বাজিয়ে দেখান।” ত্রিপুরার মানুষ কে সাহস যুগিয়ে আত্মবিশ্বাসও অভিষেক বার্তা। দিয়ে গেলেন, ” বাংলা যখন পেরেছে ত্রিপুরাও পারবে। আজ থেকে ত্রিপুরায় বাহিনীর খেলা শেষ। ত্রিপুরা বাসীর খেলা শুরু।”