পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেশপুরে সভা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা থেকে এদিন বিজেপি সরকারকে একের পর এক প্রসঙ্গে নিশানা করেন অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের দ্বন্দ্ব নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেশপুরের জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘নিজেদের রেষারেষিতে যদি দলের মাথা নত হয়, তাহলে ছেড়ে কথা বলব না।’ এদিনের সভা থেকে অভিষেক স্পষ্ট করে বলেন, ‘কে কোথায় কী করছেন, করছেন না, সবার উপর আমি নজর রাখছি।’ নিজেকে জনগণের জন্য পাহারাদার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নেতাদের হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে বলেন, ‘পাহারাদের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আগামী পাঁচ বছর যারা মানুষের জন্য কাজ করবেন, তাঁরাই প্রার্থী হবেন ৷ যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করবেন না, দল তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে।’

কেশপুরে সভা চলাকালীন এই তিন জনকে মঞ্চে ডাকেন অভিষেক। প্রথমে তিনি শেখ হসিমউদ্দিনের খোঁজ শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যখন শাসকদলকে নিশানা করছেন বিরোধীরা, তখন হসিমউদ্দিনের মতো মানুষকে ব্যতিক্রমী হিসাবে তুলে ধরেন অভিষেক।এর পর আর এক দম্পতিকে মঞ্চে ডেকে নেন অভিষেক। নীল পাড় সাদা শাড়ির এক মহিলাকে দেখিয়ে অভিষেক বলেন, ‘ইনি মঞ্জু দলবেরা।’ পাশের সাদা চেক শার্টের যুবকে দেখিয়ে অভিষেক বলেন, ‘ইনি অভিজিৎ দলবেরা। মঞ্জু দলবেরার স্বামী। ইনি সেই নির্দিষ্ট বুথের বুথ সভাপতি। এঁদের কী মনে হয় আপনাদের? এক জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর স্বামী ১০ বছর বুথ সভাপতি আছেন।’ এরপরই ওই দম্পতিকে দেখিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে অভিষেকের বার্তা, ‘যাঁরা দেখান আমাদের ব্লক সভাপতি, ফুলেফেঁপে উঠেছেন। তাঁদের দেখাচ্ছি। আমার মিটিংয়ে আজ আমার ছবি থাকবে না। অভিজিৎ দলবেরা এবং মঞ্জু দলবেরার ছবি থাকবে।’ প্রশংসা করার পর অভিষেক জানান, ‘অভিজিতের বাড়ি তৈরির দায়িত্ব নেবে দল। এবং অভিজিতের দায়িত্ব থাকবে এমন কর্মী তিনি আরও তৈরি করবেন।’ এদিনের সভায় সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, জেলা কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতি, তৃণমূল নেত্রী শিউলি সাহা সহ জেলা নেতৃত্ব।