এবার জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, ‘আমি প্রথম থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তার ইস্যুটিকে সমর্থন জানিয়ে এসেছি। কয়েকটি ইস্যু বাদ দিলে তাঁরা বৈধ ও যুক্তিসঙ্গত দাবি জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো রাজ্য সরকার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছে।গোটা রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। আশা করি আগামী ১৪ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে রাজ্য সরকার, কলকাতা পুলিশ সহ স্বাস্থ্য বিভাগে রদবদল করেছে।’
অভিষেকের আরও সংযোজন, ‘এবার তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার উচিত। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে কাজ করা উচিত। এই পরিবর্তনগুলি অবিলম্বে কার্যকর করা নিশ্চিত করার জন্য টাস্ক ফোর্সের উদ্যোগগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। সিবিআইকে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে, কোনও অপরাধী রেহাই পাবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে সিবিআই বিগত ১০ বছরে একটি তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি। ফলে ন্যায়বিচার দেরি হচ্ছে, সেইসঙ্গে ন্যায় বিচার অস্বীকার করা হচ্ছে।’
এদিকে এখনও চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত। মঙ্গলবার রাতেই এই নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেন আন্দোলনকারি চিকিৎসকেরা। তাদের বক্তব্য, হাসপাতালে রোগী ও চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান থেকে সরবেন না তারা। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তারা কাজে ফিরতে চায়। তার আগে তাদের শর্তাবলীর ৪ ও ৫ নম্বর দাবি পূরণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। মুখ্যসচিবকে ফের ইমেল করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাদের বক্তব্য, হাসপাতালে নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই না, দ্বিতীয়বার কোনও অভয়া কাণ্ড ঘটুক।
৪০ দিন কর্মবিরতি পার হয়ে গেছে। তাদের বক্তব্য, সব দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণের দাবিতে এখনও অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। ছাত্র সংসদ গঠন ও হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ চান আন্দোলনকারীরা। ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন তারা। অবিলম্বে রাজ্যভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠনের নোটিস জারি করতে হবে। প্রত্যেক কলেজে টাস্ক ফোর্সে থাকবেন পড়ুয়া-প্রতিনিধিরা। তৈরি করতে হবে রেসিডেন্সিয়াল ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নতুন ভাবে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন করতে হবে।