২৭ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অব্যাহত নদিয়ার জালালখালি হল্টে রেল অবরোধ। প্রতিটি লোকাল ট্রেনের স্টপেজ দিতে হবে, এই দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে রেললাইন অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। দিন গড়ালেও, সেই অবরোধ চলছে এখনও। বাদকুল্লা এবং কৃষ্ণনগর জংশনের মধ্যবর্তী স্টেশন হল জালালখালি হল্ট। এই স্টেশনে স্থানীয়দের অবরোধের জেরে গতকাল থেকে আটকে পড়েছে সমস্ত লালগোলাগামী সমস্ত ট্রেন। এছাড়াও একাধিক স্টেশনে অন্যান্য ট্রেনও আটকে পড়েছে। এই অবরোধের জেরে শিয়ালদহ মেন শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেনও আটকে পড়েছে। প্রায় ছ’মাস পর রবিবার থেকে রাজ্যে গড়াতে শুরু করেছে লোকাল ট্রেনের চাকা। তার এক দিন পরই জালালখালি হল্টে এই অবরোধের জেরে মঙ্গলবার থেকেই চরম ভোগান্তির শিকার লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা। বুধবারও সেই ভোগান্তি অব্যাহত থাকল।
জালালখালি হল্টে ট্রেন দাঁড় করানোর দাবি আজ নতুন নয়। স্থানীয় অবরোধকারীদের দাবি, ওই হল্ট স্টেশনে সমস্ত ট্রেন থামার অনুমতি দিতে হবে। শিয়ালদহের ডিআরএম এসে লিখিত প্রতিশ্রুতি না দিলে তাঁরা রেল লাইন ছেড়ে নড়বেন না এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে তাঁদের যুক্তি, এখান থেকে নিত্যদিনই প্রচুর চাষি কলকাতায় ফুল এবং আনাজ নিয়ে যান ব্যবসার উদ্দেশ্যে। এছাড়াও, এলাকায় কোনও হাইস্কুল না থাকায় প্রচুর পড়ুয়াদের প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণনগর বা বাদকুল্লার স্কুলে পড়তে যেতে হয়। ট্রেন না থামায় সকলেই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবারই ঘটনাস্থলে আসে জিআরপি এবং আরপিএফ। কিন্তু তারা বোঝানোর চেষ্টা করলেও নিজেদের দাবিতে অনড় অবরোধকারীদের সরাতে পারেননি। বিকালে কৃষ্ণনগর সদরের মহকুমাশাসক চিত্রদীপ সেনও যান সেখানে। তাঁর প্রস্তাবেও রাজি হতে নারাজ অবরোধকারীরা।