ফের নিম্নবর্ণের উপর নির্যাতন! এবার একই পরিবারের চারজনকে নির্মম ভাবে খুনের অভিযোগে তোলপাড় উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ। নিহতদের মধ্যে রয়েছে একজন ১০ বছরের বালক ও এক ১৬ বছরের কিশোরীও। একইসঙ্গে অভিযোগ, খুন করার আগে সম্ভবত গণধর্ষণ করা হয়েছে কিশোরীকে। এই ঘৃণ্য কাজে অভিযোগের তির ওই নিহত পরিবারেরই প্রতিবেশী এক পরিবারের দিকে। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, উচ্চবর্ণের ওই পরিবার আগেও নিম্নবর্ণের এই পরিবারের সদস্যদের উপর যথেচ্ছ নির্যাতন চালিয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে যোগী রাজ্যে। কংগ্রেস নেত্রী ও উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রধান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী শুক্রবার দুপুরেই দেখা করতে পারেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই খুন ও গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু করে ওই উচ্চবর্ণ পরিবারের ১১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সম্ভাব্য ধর্ষিতা কিশোরীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে ঘরে। বাকি ৩ জনের মৃতদেহ বাড়ির বাইরে উঠোনেই পড়ে ছিল বলে জানা গিয়েছে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে চারজনকেই কুপিয়ে খুন করেছে অভিযুক্তরা। প্রত্যেকের শরীরেই পাওয়া গিয়েছে গভীর ক্ষতচিহ্ন।
নিহতদের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন রকম সমস্যা তৈরি হয়েছিল। বারবরই উচ্চবর্ণের পরিবারটি নির্যাতন চালাত ওই নিম্নবর্ণের পরিবারের উপরে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে বিষয়টি চরমে পৌঁছয়। ২১ সেপ্টেম্বর মারধর করা হয় ওই নিম্নবর্ণের পরিবারটিকে। তার প্রায় সপ্তাহখানেক পরে এফআইআরও দায়ের করা হয়, তাও আবার নির্যাতিতদের পরিবারের বিরুদ্ধেই। পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছে নিহতদের পরিবারের। এবারেও পরিবারের ৪ জনের খুনের ঘটনা চেপে যাওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে বলেও দাবি। সুশীল কুমার নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি এসে নিহতদের পরিবার পরিজনকে লাগাতার চাপ দিচ্ছেন বিষয়টায় সমঝোতা করার জন্য।