বিধানসভায় এখন চলছে শিতকালীন অধিবেশন। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সরকারি প্রকল্প নিয়ে ঘোষণা করেন সেখানে। বলেন, “আদিবাসীরা আমদের সমাজের সম্মানীয় এক সম্প্রদায়। বিভিন্ন ভাগ আছে তাদের। তাদের প্রত্যেকটি সম্প্রদায়ের জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা তাদের জন্য ফান্ড আরও বাড়িয়েছি। কেন্দু পাতার দাম বাড়িয়েছি৷ অরণ্যের অধিকার অরণ্যের মানুষের হাতে। তাদের জমি যাতে কেউ না নিতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি। বার্ধক্য ভাতা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে আমরা কাজ করছি। এছাড়াও তফশিলীদের জন্য শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। তাদের সরাসরি টাকা দেওয়া হয়। আমরা বাবা সাহেব আম্বেদকর ইন্সটিটিউট থেকে গুরুচাঁদ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। আপনাদের আর কিছু উপদেশ থাকলে সেটাও জানাবেন। তবে ভুল তথ্য জানানো যাবে না।”
পাশাপাশি এবার থেকে আধার কার্ড এবং স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড না থাকলেও লক্ষীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করা যাবে বলে বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে পাট্টা বিলি অনুষ্ঠানে সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সরকারি জমিতে বসবাসকারী প্রায় তিনশো উদ্বাস্তু কলনি সহ ভূমিহীন কৃশকদের কৃ্ষি জমির পাট্টা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কৃষিজ পাট্টা, বনভূমি পাট্টা, নিজ ভূমি নিজ পাট্টা বাড়ানো নিয়েও বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষকে সরকার পাট্টা বিলি করেছে। আরও করবে। এছাড়াও হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কিংবা জঙ্গলের কেউ হাতির দ্বারা মারা গেলে, তার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের এক জনকে বন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন