অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে। জানা যাচ্ছে চলতি বছরে গত ২১ এ ফেব্রুয়ারিতে ঘটনাটি ঘটেছে । পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ওই যুবকের দিদি প্রথমে মেয়েটিকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ওই যুবকের দিদি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় এবং পাশের ঘরে থাকা অভিযুক্ত যুবকের ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে নাবালিকা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে। ঘটনার পর নির্যাতিতা মেয়েটিকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য খুনের ভয় দেখায় ওই অভিযুক্ত যুবক। মেয়েটি পরে অন্তঃসত্ত্বা হলে পরিবারের নজরে আসে। আসল ঘটনা জানাজানি হতেই পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ জানানোর পরিকল্পনা করেন।

কিন্তু তখনই ঘটে যায় বিপত্তি, ওই এলাকার কিছু তৃণমূলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গ্রামের মধ্যেই সালিশি সভার আয়োজন করে ব্যাপারটিকে রফাদফা করার চেষ্টা করেন। নাবালিকার পরিবার ওই সালিশি সভায় বসতে রাজি না হলে তাদেরকে একঘরে করা হয়।পরিবারের অভিযোগ এই প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই অভিযুক্ত যুবককে গ্রাম ছেড়ে পালাতে সাহায্য করে। এবং তাদেরকে হুমকি দেয়া হয় মুখ খুললেই বিপদ ঘটতে পারে। এরই মাঝে একদিন ওই নাবালিকার মা থানায় গিয়ে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। তার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হরিশচন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, “অভিযুক্ত যুবক ভয়েই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সমস্ত ঘটনাই খতিয়ে দেখছে।”