আদানি-হিন্ডেনবার্গ নিয়ে যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এই নিয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তাল সংসদ। এই আবহে ফের একবার এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একটি কনক্লেভে কথা বলার সময় তিনি দাবি করেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যদি বেআইনি কিছু হয়ে থাকে কাউকেই ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
অমিত শাহ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের দিয়ে দু’সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। যাঁদের কাছে যা প্রমাণ আছে, সবাই সেসব তাঁদের কাছে জমা দিন। দুর্নীতি করে থাকলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি আদালতকে একটি হলফনামায় জানিয়েছে, তারা এই বিষয়ে তদন্ত করছে। সুপ্রিম কোর্ট সেবিকে তাদের তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।’ শাহ দাবি করেন, যতগুলি দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে তার মধ্যে শুধুমাত্র দু’টি বিজেপি সরকারের আমলের, বাকি মামলাগুলি ইউপিএ জমানার। অমিত শাহ বলেন, ‘২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের এক বড় নেত্রী জানিয়েছিলেন, যদি তাঁরা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন, তাহলে তার তদন্ত হোক। আর এখন তিনি আমাদেরই প্রশ্ন করছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পদক্ষেপ করলে তাঁরা কান্নাকাটি করছেন।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন, ‘কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ শাসনকালের ১০ বছরে ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়েছিল। তখন তা ধামাচাপা দিতে সিবিআইকে দিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। কোনও আর্থিক তছরূপের মামলা হলে, তার তদন্ত করতে বাধ্য ইডি। কেউ কি তাঁদের আদালতে যেতে বাধা দিয়েছে? প্রশ্ন তোলেন শাহ। যাইহোক, সরকার এখনও পর্যন্ত বিরোধী দলগুলির প্রতিক্রিয়া জানায়নি যারা যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি উত্থাপন করেছে।