গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত এনামুল হক, অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন, বিএসএফের অফিসার সতীশ কুমার তিহার জেলে রয়েছেন। সোমবারই অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও তিহাড়ে পাঠানো হয়েছে। এবার তিহার জেলে ঠাঁই হল বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। এই তিহার জেলে যাওয়া ঠেকাতে গত চার-পাঁচ মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলের তরফে দিল্লি-যাত্রা ঠেকানোর চেষ্টা হচ্ছিল। তবে শেষ রক্ষা হল না। ধৃত অনুব্রতকে ১৩ দিনের জন্য তিহারে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। ফের ৩ এপ্রিল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহ।
বহুদিন ধরেই বেশকিছু অসুখে ভুগছেন অনুব্রত মণ্ডল। রোজই প্রচুর ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। জেলে যাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতই ছিল তিহারে তাঁর প্রথম রাত্রিযাপন। তবে সেই রাত কেমন কাটল বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’র? জেল সূত্রে খবর, প্রথম রাতে তাঁকে আলাদা ঘরে রাখা হয়। আজ তাঁকে কোনও সেলে দেওয়া হতে পারে। এদিন অনুব্রতর কাছে ছিল মাত্র ২টি কাগজ। একটি হল তাঁর প্রেসক্রিপশন এবং অন্যটি হলে কোর্টের কাগজ। সূত্রের খবর, নিজের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে অনুব্রত বলেন, তাঁর ওইসব ওষুধ খুবই প্রয়োজনীয় ওই ওষুধ ছাড়া তাঁর চলবে না। এদিকে, প্রসেক্রিপশন দেওয়া হলেও তাঁর পরিচিত ব্রান্ডের ওষুধ তিনি পাননি। এনিয়ে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ একই কম্পোজিশনের ওষুধ দেওয়া হলেও ব্রান্ড আলাদা হাওয়ায় তিনি সেই পাতা চিনতে পারছিলেন না।
রাতে তিহার জেলের অধিকাংশ বন্দি রুটি ও সবজি খান। অনুব্রতকে সেই রুটি সবজি দেওয়া হয়। কিন্তু অনুব্রত রুটি খেতে পারেন না। তাই তিনি ভাত, ডাল ও সবজি খান। রাতে ঘুমের সমস্যা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আদালত থেকে বলা হয়েছে রাতে শ্বাসকষ্ট বাড়লে তাঁকে যেন অক্সিজেন দেওয়া হয়। অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়েনি। তবে তাঁর ইনহেলার ও অন্যান্য ওষুধ তাঁর সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয়।