দোলযাত্রার দিনই দিল্লি যাত্রা অনুব্রত মণ্ডলের। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বার করে নিয়ে আসা হয়। এরপর বর্ধমানের শক্তিগড়ে কনভয় থামিয়ে জলখাবার খেলেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। দোলের দিন সকালেই তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বার করে কলকাতা রওনা হয় জেল কর্তৃপক্ষ। পথে শক্তিগড়ে থামে কেষ্টর কনভয়। সেখানে প্রাতরাশ সারেন তিনি। তারপর আবার জোকা ইএসআই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয় কেষ্টর কনভয়।
শক্তিগড়ে পুলিশি নিরাপত্তায় দোকানের ভিতরে চলে যান অনুব্রত। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসে খাবার। চারটি করে কচুরি, সঙ্গে ঘন ছোলার ডাল। শেষপাতে ল্যাংচা এবং রাজভোগ। জল খেয়ে, মুখ মুছে অনুব্রত আবার গিয়ে বসেন পুলিশের গাড়িতে। এদিন, অনুব্রত যখন শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানে প্রাতরাশ সারছিলেন, তখন তাঁর টেবিলে আরও দুজন যুবক ছিলেন। ওই দুজনের সঙ্গে অনুব্রতকে কথা বলতে দেখা যায়। এমনকি অনুব্রতর পাশে বসে খেতেও দেখা যায় দুজনকে, যদিও অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের অন্য টেবিলে বসে খাবার খেতে দেখা যায়। এরা কারা, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
কলকাতা নিয়ে এসে অনুব্রতকে প্রথমে জোকা ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। সেখান থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার শংসাপত্র নিয়ে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজই আকাশপথে ইডির সাথে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন কেষ্ট মন্ডল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অনুব্রতের সঙ্গে একজন চিকিৎসককেও দিল্লি নিয়ে যাবে ইডি। গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি আছেন অনুব্রতের দেহরক্ষী সেহগল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকও।