অস্ট্রেলিয়ার আকাশে মাকড়শার জালের রহস্য। এই কিছু সময় আগেই শেষ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় ঘটে যাওয়া প্রবল দুর্যোগ। ঝড় বৃষ্টির পরে ঝকঝকে সকাল দেখেছে ভিক্টোরিয়া। কিন্তু এই ভালো সময় টিকলো না বেশিক্ষণ। গিপ্সল্যান্ড এলাকার মানুষ দেখতে পেলেন যতদূর দেখা যায় সমস্ত আকাশ জুড়ে বিশাল জাল বিছিয়ে রয়েছে। সমস্ত এলাকা এই জালে ঢাকা পড়ে রয়েছে গাছ থেকে গাছে , বাড়ির ছাদ থেকে ছাদে, এমনকি উঁচু টাওয়ার অবধিও ছড়িয়ে পড়েছে এই রেশমি জাল।
এলাকাবাসীরা রোজ এক ভয়ঙ্কর সকালের সাক্ষী হলেন, রোজ ভাবতে লাগলেন এই তাঁদের শেষ দিন এই পৃথিবীতে। এই বুঝি মানবজাতির অস্তিত্ব ধ্বংসের মুখে। তাঁরা শেষপর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতে থাকেন ভিডিও। আর নিমিষেই ভাইরাল হয়ে যায় এই খবর যে অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত আকাশ ছেয়ে গেছে মাকড়শার জালে।
জানা যায় এই রহস্যের পেছনের কারণ। এই মিহি চাদরের জাল বুনেছে বিপন্ন মাকড়শারাই। বিগত দুই সপ্তাহ ধরে প্রবল ঝড়ের দাপট চলেছে দক্ষিণ পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায়। জলের তলায় চলে যায় উপকূল নিকটবর্তী অঞ্চলগুলি। তবে সতর্কতা জারি করে আগেই এলাকাবাসীদের সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওখানকার পশু, পাখি, কীটপতঙ্গদের পালাবার পথ থাকে না। জল থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় তাদের কাছে নেই।
প্রাণী বিজ্ঞানীরা জানায় যে কিছু কিছু প্রাণীর বিপদের হাত থেকে নিজেদেরকে বাঁচাবার ক্ষমতা রয়েছে। আসন্ন বিপদের সংকেত পেয়ে নিজেদ্রর অদ্ভুত এক ক্ষমতার প্রয়োগ করে স্থানীয় ছোট মাকড়সার দল। বন্যার জল থেকে বাঁচতে ও উঁচু কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে মিহি অথচ জাল বনে ছোট কালো মাকড়সার দল। এই জাল বোনের পদ্ধতিকে বলে ‘বেলুনিং’ এক কোথায় বেলুনে চেপে আকাশের উদ্দেশ্যে উড়ে গেছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।
ওয়েলিংটন শায়ারের কাউন্সিলর ক্যারালিন ক্রসলি প্রথম এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করেন। বন্যার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে তিনি, গাছগাছালিতে ভরা ঘন তৃণভূমির কাছে আসতেই তিনি তাজ্জব হয়ে যান এবং তখনই আবিষ্কার করলেন এই মাকড়সার জালের রহস্য।