৯ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বড়বাজারের আগুন। গুদামের চারতলায় আগুন নেভানোর কার্যে জল পৌঁছতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। কতক্ষণে আয়ত্তে আসবে পরিস্থিতি, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। ইতিমধ্যেই দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে ফোন করে পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে বহুতলটিতে আগুন লেগেছে, তার তিনতলায় বেশ কয়েকটি পরিবারের বসবাস বলেই জানা গিয়েছে। আগুন টের পাওয়ামাত্রই ঘর ছাড়েন তাঁরা। ফলে বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কতক্ষণে এই ভয়াল আগুন আয়ত্তে আসবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি গোটা পরিস্থিতির তদারকি করেন। সূত্রের খবর, তিনি নিজেই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগাতে যান আর এরপরেই প্রবল ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আগুনের খবর পাওয়ামাত্রই সুজিত বসুকে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নিয়েছেন পরিস্থিতির। প্রাথমিকভাবে দমকল আধিকারিকদের অনুমান, গোটা বাড়িটিতে কোনরকম অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। এদিকে ঘিঞ্জি এলাকা। তার উপর বাড়িতে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন আয়ত্তে আনতে নাজেহাল অবস্থা দমকলকর্মীদের। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরই বোঝা যাবে কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড।