
হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে আজকের দিনটি বিশেষ ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। বসন্তপঞ্চমীতে বাসন্তী রঙের শাড়ি ছোট ছোট সরস্বতী প্রতিমা রাস্তায় চলে বেড়াচ্ছে। যদিও করোনা আবহে সরস্বতী পূজার চেহারাটা সামান্য বদলেছে বটে ,তবে একেবারে মিটিয়ে ফেলতে পারেনি। শ্রী পঞ্চমী তিথিতে প্রতিবছরের মতো এবছরও শ্বেতবস্ত্র পরিহিতা মা এসেছেন সকলের মাঝে।
চেনা-পরিচিত চেহারাটা সামান্য বদলেছে। স্কুলের প্রতিমার আকৃতি হয়েছে ছোট, ভিড় কিছুটা স্মিত। স্কুলের শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও কম এমনকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা সংখ্যায় কম এসেছেন।

পাড়ার সরস্বতী মন্ডপ গুলিতে গেলে আজও দেখতে পাওয়া যায় , কোন ছোট শিশু তার জীবনের প্রথম হাতে খড়ি দিচ্ছে কোথাও আবার ছোট্ট একটি মেয়ে হলুদ শাড়িতে নিজেকে সাজিয়ে নিয়েছে কোথাও বা রাস্তার ধারে কেউ অপেক্ষারত তার পুরনো বন্ধু বান্ধবের জন্য। মুখে মাস্ক ম্যান্ডেটরি হলেও সাজে কোন বাধা নেই।
এমনকি বড় মণ্ডপগুলোতে কড়া নিরাপত্তায় মাধ্যমে ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। সিভিক ভলেন্টিয়ার দের দ্বারা সামলানো হচ্ছে ভিড় ,দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজার। দূরত্ব মেনেও পালিত হচ্ছে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে। যদিও সাধারণ মানুষ আগামী বছরে একটি সুস্থ সরস্বতী পূজার কামনায় করছেন আজ মাতৃ বন্দনার মাধ্যমে।