রাত পোহালেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হতে চলেছে। মূলত ৫ জেলায় ৩০ টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহন হবে আগামীকাল। আর সেই কারণেই ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে এই পাঁচটি জেলা। এই ৩০ আসনে মোট ৭৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এরমধ্যে পুরুলিয়া দেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি(১৮৫) কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিরাপত্তা এখানেই শেষ নয় , পাশাপাশি প্রতিটি বুথের ১০০ মিটার দূরে থাকবে রাজ্য পুলিশ ।

পুরুলিয়া ,বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ,পশ্চিমমেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ভোট হতে চলেছে আগামীকাল। ভোটগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই প্রতিটি কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আগামিকালের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকেই ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। সমস্ত ভোট গ্রহণকারী কর্মীদের প্রয়োজনীয় জিনিস বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আজকেই।

রাজ্যে এবার লড়াইটা প্রকৃতই পদ্মফুল বনাম জোড়া ফুলের সেখানে কোথাও জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছে সংযুক্ত মোর্চা । সেখানেই হট সেন্টার নন্দীগ্রাম নিয়ে কোনো রিস্ক নিতে চাননা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।তাই দাসপাড়ার সভা থেকে ঘোষণা করলেন আগামী পাঁচ দিন নন্দীগ্রামে থাকতে চলেছেন তিনি, একেবারে ভোটের কর্মসূচি মিটিয়েই ফিরবেন তিনি। তবে হাল ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি আজ সেই কারণেই জমে উঠেছিল দুই দলেরই শিবির। বিজেপির জনসভা থেকে অমিত শাহ বলেন, দেশে নরেন্দ্র মোদি গরিব মানুষের জন্য ১১৫ বেশি প্রকল্প চালু করেছেন।১০ কোটি মানুষের ঘরে টয়লেট বানিয়ে দিয়েছেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দিয়ে তিনি বলেন প্রায় ১০০ টিরও বেশি স্ক্যাম করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কাদা ছোড়াছুড়ির খেলায় সাধারণ মানুষের চোখে কে কতটা পরিষ্কার থাকতে পারল সেটা দেখা যাবে ভোটের ফল প্রকাশের দিন।