করোনার এই প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল হয়ে পড়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে করোনা সংক্রমণকে রুখতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন ,জার্মানি ,পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ গুলি। বাইডেন প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতের পুনে ভিত্তিক সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। ওদিকে জার্মানির তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ২৩ টি মোবাইল অক্সিজেন প্লান্ট পাঠানো হয়েছে, পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের তরফ থেকে ভারতের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এমনকি চীন যাকে কিনা পুরো পৃথিবী এই ভাইরাস তৈরির জন্য দায়ী মনে করেন সেই দেশের তরফ থেকেও ভারতকে এই কঠিন সংকটের মুখ থেকে বাঁচাতে টেকনিক্যাল সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল -এর মুখপাত্র এমিলি হর্ন একটি বিবৃতিতে, ভারতের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং তার আমেরিকান সহযোগী জ্যাক সুলিভানের মধ্যে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শুধু তাই নয় একটি বিবৃতিতে জানানো হয় ভারতের এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতের আক্রান্ত মানুষদের জন্য জীবনদায়ী ওষুধ পিপিকিট, টেস্ট কিট এবং ভেন্টিলেটরে সুবিধা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কিছুদিন আগে থেকেই যখন ভারতের এই সংক্রমনের গতি দ্রুততার সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছিল তখন সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা ভারতে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাঁচামালের জন্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একাধিক ট্যুইট করেছিলেন। যদিও সেই সময় নিজের দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পরিষ্কারভাবে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন নিজের দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে আগে ভ্যাকসিন প্রদান করতে চায় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র । তারপর অন্যান্য দেশে কাঁচামাল সরবরাহ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।
যদিও পরবর্তীতে ভারতের সুরক্ষা উপদেষ্টা ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্য জ্যাক সুলিভানের আলোচনায় ভারত ও আমেরিকা সংহতির কথা উঠে এসেছে। দুটো দেশ একসঙ্গে, পোলিও এবং এইচআইভি-র বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তাই সেই সময় সমস্ত সমস্যা থেকে উদ্ধার পাওয়ার কথা মাথায় রেখে আগামী দিনে কোভিড মুক্ত বিশ্ব গড়ার আশাতেই আবারও ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল আমেরিকা।