চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে কোয়াড সামিটের চতুর্থ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল। আর তার আগেই ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তায় ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে জাপান অথবা ভারতকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও গত ১৫ সেপ্টেম্বর ৩ দেশের প্রধান একত্রিত ভাবে এইউকেইউএস নামক একটি অ্যালায়েন্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই হোয়াইট হাউসে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে মূলত ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে ভারত এবং জাপানের অবস্থান নির্ধারণ করা হচ্ছিল । ২১ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে ভারত এবং জাপানের মত দেশগুলি ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের সামুদ্রিক নিরাপত্তায় যে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, তাই নিয়ে আলোচনা চলছিল আমেরিকার হোয়াইট হাউসের এই বৈঠকে । সেই সময় হোয়াইট হাউসে প্রেস সেক্রেটারি জেন পেশাকি জানান ,’সেখানে অংশগ্রহণ করার মত এই মুহূর্তে আর কোনও দেশ উপস্থিত নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা জোট এইউকেইউএসকে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনকে মোকাবেলার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই নতুন ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের অধীনে, অস্ট্রেলিয়া প্রথমবারের মত পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনের বহর পাবে। এই জোট যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মত পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন তৈরির প্রযুক্তি সরবরাহ করতে দেবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জানা যাচ্ছে এই ত্রিমাত্রিক শক্তি তখনই বাস্তবায়িত হবে, যখন চার দেশের প্রধান একত্রিতভাবে কোয়াড সামিটে সামনাসামনি প্রথম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। জানা যাচ্ছে আগামীকাল থেকেই এই সামিটের অধিবেশন শুরু হতে চলেছে । এই কোয়াড সামিট পরিচালনা করছেন আমেরিকার রাস্ট্রপতি জো বাইডেন। এছাড়া ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ,ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউসিহিদে সুগা।