সোমবার করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (৭৮)। শুধু তাই নয়, এর আগে কমলা হ্যারিস অর্থাৎ ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়েছিলেন এই করোনার টিকা। যদিও সমস্ত টিকা করনের পদ্ধতি তুলে ধরা হয় জনসাধারণের সামনে লাইভ টিভি মারফত। পাশাপাশি বলা হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যদিও বিশেষজ্ঞ মহলের তরফ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে শুধুই কিএই কারণেই করোনার টিকা লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছিল? পাশাপাশি থেকে যাচ্ছে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার একটি জায়গায় বলে মনে করছেন একাংশ।

এই অনুষ্ঠানে নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শপথ বাক্য পাঠ করেন: “আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে শপথ করছি যে আমি বিশ্বস্ততার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দফতর পরিচালনা করবো, সাধ্যের সবটুকু দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান রক্ষা, সংরক্ষণ ও প্রতিপালনে সচেষ্ট থাকবো।” এদিন অনুষ্ঠানে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে এই শপথ বাক্য পাঠ করানো হবে জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসকে দিয়ে । তবে ভ্যাকসিন যে নিরাপদ তা নিশ্চিত করতে চান তিনি৷ ইতিমধ্যেই আমেরিকায় গণহারে ফাইজার/বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ২০শে জানুয়ারি। উদ্বোধনী বক্তব্য দেওয়ার কথা স্থানীয় সময় সাড়ে এগারোটায়। আর জো বাইডেন ও কমালা হ্যারিসের শপথ নিতে নিতে দুপুর গড়াবে।প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য এমনিতেই বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি আলাদা। ক্যাপিটল হিলে হামলার পর এর গুরুত্ব আরো বেড়েছে। মি. বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমার নিরাপত্তার বিষয়ে কিম্বা অভিষেক অনুষ্ঠান নিয়েও আমি উদ্বিগ্ন নই।”