ফের একবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। বুধবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে গিয়ে হাসপাতালের পথে তিনি দাবি করেন, “আকাশ প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে। শান্তনু বন্দোপাধ্যায়কে জানি না, চিনিও না। তাপস মন্ডল এবং নীলাদ্রি আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে। আমার ফ্ল্যাটে কোনো টাকার লেনদেন হয়নি। নীলাদ্রি ঘোষ, গোপাল দলপতি ও তাপস মন্ডল এরাই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তদন্ত চলছে তাই এ নিয়ে আর কোনো কথা বলব না।”
মঙ্গলবার দিনভর সিজিও কমপ্লেক্সে কুন্তল ও তাপস মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় কুন্তল স্বীকার করেছে চাকরি দেওয়ার নামে ১৯ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছে সে। তবে যে সব রসিদ তাপস মণ্ডল ইডির কাছে জমা দিয়েছেন তার অনেকগুলিতে তাঁর সই জাল করা হয়েছে বলেও দাবি করেন কুন্তল। তবে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সময় তাপস মণ্ডলের সঙ্গে কুন্তল ঘোষের রীতিমতো ঝগড়া লেগে যায়। অন্যদিকে, তাপস মণ্ডলের দাবি, কুন্তলের ফ্ল্যাটে তাঁর যাতায়াত ছিল কিন্তু সেখানে তিনি কখনও থাকেননি। তাই কুন্তলের পরিবারের দাবি সঠিক নয়। এদিকে ওই দুর্নীতিতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে একজনের নাম উঠে আসছে। তিনিও হুগলির এক তৃণমূল নেতা।
কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে একটি ডাইরি উদ্ধার হয়েছে। সেই ডাইরিতে রয়েছে সাংকেতিক ভাষায় লেখা কিছু তথ্য। ইডির দাবি, ওই ডাইরি থেকে টাকার লেনদেন ও প্রভাবশালীদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যেতে পারে। পাশাপাশি, একটি পেনড্রাইভ ও উদ্ধার করেছে ইডির আধিকারিকরা।