মাত্র দশ মিনিটে চাকরি বাতিল এসএসসি গ্ৰুপডির ১,৯১১ জনের। হাইকোর্টর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, অবিলম্বে ১,৯১১ জন গ্ৰুপডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে।
বিচারপতি বলেন, যে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর বসতে পারবেন না।
এদিকে শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী আদালতে স্বীকার করে নেন, ১,৯১১ জন গ্ৰুপ-ডি প্রার্থীকে অন্যায় ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। কমিশন তথ্য যাচাই করে আদালতে হলফনামা দিয়ে স্বীকার করে, ওই সব প্রার্থীর ওএমআর শিটে কারচুপি করে চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল।
এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, সেই সময় এসএসসি-র চেয়ারম্যান কে ছিলেন। এসএসসি-র আইনজীবী জানান, সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এরপরই সুবীরেশকে নিয়েও কড়া সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দিচ্ছি, কাদের কথায় এত বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, অবিলম্বে তাঁদের নাম জানাতে হবে, কারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত।’ এরপরেই সুবীরেশকে এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি এও জানান, সুবীরেশের পরিবারকে নিরাপত্তা দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যাঁরা বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছেন, সিবিআই প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
তবে খুশির খবর হল, ২ হাজার ৫২০ জনকে গ্রুপ–ডি কর্মী হিসেবে নিয়োগের নির্দেশও আজ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের জন্য এসএসসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীদের বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। তবে যদি তাঁদের কারও ওএমআর শিট বিকৃত থাকে তাহলে তাঁরা গ্রাহ্য হবে না। অনিয়মের জন্য যে শূন্যপদ তৈরি হয়েছে সেখানেই নিয়োগের কথা বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই ইন্টারভিউ করে সুপারিশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ মার্চের মধ্যে এই নিয়োগ শেষ করতে হবে।