ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনায় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ট্রেনটির একাধিক কামরা বেলাইন হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। ১৭৯ জনকে বালেশ্বরের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর স্টেশন ছাড়ে বিকেল সওয়া ৫টায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছয় বালেশ্বরে। কাছেই বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি। তবে ট্রেন দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরি বলেন, বালেশ্বরের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে কিছু একটা হয়েছে। আমরা কোনও ভাবে এখনও কিছু জানতে পারিনি। জানার চেষ্টা করছি। জানামাত্রই জানানো হবে।”
প্রাথমিকভাবে খবর, বালাসোর জেলার বাহানগা বাজারের কাছে মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। তার জেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি। একাধিক বগি রীতিমতো দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তার জেরে অনেকে আহত হয়েছেন। কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কাও করা হচ্ছে। লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের আটটি বগি। যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে গিয়েছে যে একাধিক বগি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। দেশলাই বাক্সের মতো কার্যত তুবড়ে গিয়েছে একাধিক বগি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছে ওড়িশা সরকার ও ভারতীয় রেল। প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে ৫-৬ জন সদস্যের এক প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও অন্যান্য পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতির উপর অবিরাম নজর রাখছেন।