ত্রিপুরায় গত বিধানসভা নির্বাচনের মতোই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে শাসকদল বিজেপি। নাগাল্যান্ডে গত বিধানসভা ভোটের পর জোট সরকার গড়েছিল স্থানীয় দল এনডিপিপি এবং বিজেপি। এ বারও দুই দলের প্রাপ্ত আসন একত্রে সরকার গঠনের ‘জাদুসংখ্যা’ পেরিয়ে গিয়েছে। মেঘালয়ে গত কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনের ধারা অব্যাহত রেখে এ বছর আবার তৈরি হয়েছে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি।
প্রত্যাশামতোই ত্রিপুরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি এবং আইপিএফটির জোট। তাদের মোট প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা ৩৩। সরকার গড়তে ৩১টি আসন দখলের দরকার ছিল। জোটবদ্ধ বিজেপি তার থেকেও দু’টি আসন বেশি পেয়েছে। কিন্তু গত বার এই বিজেপিই ত্রিপুরার ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৪টিতে জিতে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছিল। বাকি ১৬টি পেয়েছিল প্রাক্তন শাসক বামফ্রন্ট। কংগ্রেস, তৃণমূল সে বার ভোটে খাতাই খুলতে পারেনি। এ বারের নির্বাচনে বামফ্রন্টের ভোট আরও কমেছে। তৃণমূল এ বারও খাতা খুলতে পারেনি। প্রথম বার বিধানসভা নির্বাচনে লড়েই ১৩টি বিধানসভা আসন জয় করেছে তিপ্রামোথা।
দফায় দফায় উত্তরপূর্ব সফর। কখনও মেঘালয়। কখনও ত্রিপুরা। প্রচারে কোনও খামতি রাখেননি মমতা থেকে অভিষেক। কিন্তু, সেই দৌড়োদৌড়িই সার হল। তেমন কিছুই এল না তৃণমূলের ঝুলিতে। শুধু তাই নয়, ত্রিপুরায় ১ শতাংশ ভোট পায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দল। শতাংশের হিসাবে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা নোটার থেকেও কম। তবে পরাজয় সত্ত্বেও এদিন উত্তরপূর্বের মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের ময়দানে অবশেষে জায়গা করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ইস্ট খাসি জেলার নংথাইম্মাই কেন্দ্রে জয় পেলেন তৃণমূল প্রার্থী চার্লস পিংগ্রোপ। নংথাইম্মাই কেন্দ্র ছাড়াও আম্পাতি আসনেও জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। মেঘালয়ে দাদেঙ্গি এই আসনেও জয় পেল তৃণমূল। নাগাল্যান্ডে গত বিধানসভা ভোটের পর জোট সরকার গড়েছিল স্থানীয় দল এনডিপিপি এবং বিজেপি।