উপনির্বাচন শেষ হয়েছে ভবানীপুর, জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জে। তবে এখনও বাকি ৪ উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই এই উপ নির্বাচন কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করল ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এখনও পর্যন্ত উপনির্বাচন বাকি রয়েছে শান্তিপুর, দিনহাটা, খড়দহ এবং গোসাবায়। জানা যাচ্ছে আগামী ৩০ অক্টোবর এই ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, গোসাবায় প্রার্থী হতে চলেছেন পলাশ রানা। এছাড়া দিনহাটা থেকে প্রার্থী হতে চলেছেন শ্রী অশোক মন্ডল। শান্তিপুরের তরফ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন নিরঞ্জন বিশ্বাস ,ওদিকে খড়দহের প্রার্থী হচ্ছেন জয় সাহা। উল্লেখ্য বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই চার কেন্দ্রে নির্বাচন সম্পন্ন হলেও,বিভিন্ন কারণে বিধায়কহীন হয়ে পরে বিধানসভা কেন্দ্র গুলি। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৮ অক্টোবর। ভুল সংশোধনের শেষ তারিখ ১১ অক্টোবর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে আগামী ১৩ অক্টোবর। আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খড়দহ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন কাজল সিনহা। তবে করোনা আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হওয়ায়, বিধায়কহীন হয়ে পরে এই বিধানসভা কেন্দ্র। পরবর্তীতে তাঁর জায়গায় তৃণমূলের তরফ থেকে প্রার্থী হয়েছেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিজেপির তরফ থেকে প্রার্থী হতে চলেছেন জয় সাহা।এছাড়াও শান্তিপুর এবং দিনহাটায় জয়লাভ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার এবং নিশীথ প্রামানিক।তবে পরবর্তীতে মন্ত্রিসভায় সাংসদ পদ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিধায়ক পদ ত্যাগ করেন তাঁরা। সেই কারণে ওই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। এছাড়াও গোসাবা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন জয়ন্ত নস্কর। তাঁর মৃত্যুতে বিধায়কহীন হয়ে পরে গোসাবা কেন্দ্রটিও। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে সেই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে চলেছেন পলাশ রানা। যদিও এই উপনির্বাচন কেন্দ্রগুলি কেবলমাত্র বিধায়ক নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।