আজ ২৭ মার্চ, সকাল থেকেই রাজ্যের ৩০ টি আসনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হতেই দিকে-দিকে অশান্তি খবর সামনে আসতে শুরু করেছে। বান্দোয়ানে বুথ ফেরত ভোটের গাড়িতে যেমন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল, তেমনি পটাশপুর, এগরায় রাতভর বোমাবাজির খবর সামনে আসে। তার উপরে আবার বেগমপুর এলাকায় বিজেপির পোলিং এজেন্টের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি শালবনিতে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষকে পাশাপাশি ভাঙা হল সংবাদমাধ্যমের গাড়ি। তবে এই সবকিছুর মধ্যে সর্বোচ্চ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে গেল তা হল মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে নিজের বাড়ির দরজাতে মিলল এক বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলেই । এদিকে মৃতের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না যদিও গেরুয়া শিবির সে কথা মানতে নারাজ। তাঁরা বলছেন মৃত এই ব্যক্তি গেরুয়া শিবিরের সমর্থক ছিলেন।
তাহলে কি আদতেও এই মৃত ব্যক্তি সমর্থক ছিলেন নাকি ভোটের আগে সাধারণ একটি মৃত্যুকে হাতিয়ার করে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা ? ওদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয় মৃত্যুটি অস্বাভাবিক ভাবেই হয়েছে। মৃতের মাথায় ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ণ পাওয়া যায়। তার পরেই জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট পেয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। জেলা প্রশাসন আরও জানিয়েছে রাজনৈতিক সংঘর্ষে এই মৃত্যু হয়নি।