পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বানেশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা জামরুল মল্লিক অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত ছিলেন বহুদিন থেকেই। শুক্রবার ভোরের বেলায় জামরুল মল্লিকের মাটির বাড়ি ভেঙ্গে চাপা পড়ল ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে । ঘটনায় আহত হন জামরুল সহ পরিবারের আরো দুই সদস্য। প্রচন্ড জোরে শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং জামরুল মল্লিক ও তার স্ত্রী, ছেলেকে উদ্ধার করে বর্ধমানের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। বিস্ফোরণের ফলে গুরুতর আহত হয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জামরুলের স্ত্রী মারজেদা বিবি । গুরুতর চোট না থাকায় জামরুল ও তার ছেলেকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বর্ধমান পুলিশ প্রশাসনের রেকর্ড অনুযায়ী লালচাঁদ বহু অপরাধমূলক কাজের সাথে যুক্ত রয়েছে এমনটাই জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় এর আগেও বর্ধমানের একটি কলেজের অশান্তির ঘটনায় লালচাঁদ যুক্ত ছিলেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার আগে কেরলে গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন জামরুল এবং তাঁর ছেলে লালচাঁদ। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে পাশের গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে দাঙ্গাতে জড়িয়ে পড়ে লালচাঁদ এবং তার বন্ধুরা। এই ঘটনায় বাবা ও ছেলেকে আটক করেছে ভাতার থানার পুলিশ ।সম্ভবত বাড়িতে মজুত থাকা বোমা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আসল ঘটনাটি ঠিক কি ? সঠিক তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত ঘটনার তদন্ত চলবে।