গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফোনের দ্বারা ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করেছিলেন। আজও একটি ভুয়ো প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছিল। তার উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, এখনো পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের কোনো খবর নেই। ভুয়ো প্রশ্নপত্রটির ব্যাপারে সাইবার ক্রাইম থানায় পর্ষদ অভিযোগ জানিয়েছে। বিরোধী দলনেতা যে অভিযোগ করছেন তাতে তিনি ফোন নম্বরগুলো দিন। না হলে বুঝবো বিজেপি চাইছে না পরীক্ষা হোক। কোথাও ভুল, অন্যায় যদি হয়ে থাকে, আমরা তার প্রতিকারের চেষ্টা করছি। নিয়োগের ব্যাপারে আমরা আদালতের হস্তক্ষেপে্ সমস্ত সিদ্ধান্ত নেব।‘
অন্যদিকে আবার টেট নিয়ে বিভ্রান্তির খবর শোনা গেল। বালিগঞ্জের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে বায়োমেট্রিকের বদলে সাদা কাগজে নাম লিখিয়ে পরীক্ষাতে বসানো হয় পরীক্ষার্থীদের। ওই কাগজে টেট কিংবা স্কুলের কিংবা রাজ্য সরকারের কোনো নাম, লোগো কিছুই ছিলনা। ফলে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখান। একজন অসুস্থও হয়ে পড়েন। রাজ্যে টেট নিয়ে এতদিন ধরে হয়ে আসা দুর্নীতির পরও আবার এইরকম গাফিলতি পরীক্ষার্থীদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আদতেও তাদের সঠিক অ্যাটেন্ডেন্স হবে কিনা সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে পরীক্ষার্থী এবং রাজনৈতিক মহলে। তবে শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল দাবী করেন, টেট নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে পরীক্ষার প্রস্তুতি থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত সবরকম দায়িত্বে থাকা বিভাগের মন্ত্রীদেরকে তিনি ধন্যবাদ জানান। পর্ষদ সূত্রের খবর, এ বছর পরীক্ষা দিতে বসেছেন মোট ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন।
আরও পড়ুন