প্রয়াত হলেন সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ হয়ে নয়াদিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এদিন দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সীতারাম ইয়েচুরি।
গত ১৯ অগস্ট নিউমোনিয়া ধরা পড়ার পর তাঁকে ভর্তি করা হয় এইমস-এ। প্রথম থেকেই রাখা হয়েছিল আইসিইউয়ে। সোমবার রাতে অবস্থার অবনতি হয়। কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সাহায্য শেষ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। শেষ মুহূর্তে একটি ইনজেকশন দিয়ে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দুপুর ৩টা ৩ মিনিটে প্রয়াত হন ইয়েচুরি। তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি, লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি প্রমুখ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যুসংবাদ পেয়ে খুব খারাপ লাগছে। ওঁর পরিবার, বন্ধু, সতীর্থদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
রাহুল লেখেন, ‘সীতারাম ইয়েচুরি একজন বন্ধু ছিলেন। তিনি ভারতের চেতনার রক্ষক, দেশ সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের অধিকারী। আমাদের মধ্যে যে দীর্ঘ আলোচনা হত, তা খুবই মিস করব।’
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক আদর্শগত তফাত থাকলেও আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, বিরোধীদের মিটিং চলাকালীন একাধিকবার ওঁনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।’
২০১৯ সালেও মোদি সরাকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা করেছিলেন ইয়েচুরি। ইন্ডিয়া জোট গঠনের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যে জোট বড় ধাক্কা দিয়েছে মোদি সরকারকে। ২০২৪ সালে ‘সংবিধান রক্ষা’র প্রচারকে সামনে রেখেই বড় সাফল্য পেয়েছে বিরোধীরা।