
ভাঙচুর চললো বর্ধমান জেলার পার্টি অফিসে। দিন কয়েক আগেই ভার্চুয়ালি ঝা চকচকে এই অফিসের উদ্বোধন করেছিলেন জে পি নাড্ডা৷ আদি- নব্য লড়াইয়ে অফিসে ভাঙচুর চালালেন দলীয় কর্মীরা৷ দ্বন্দ্বে চললো ইটবৃষ্টি বিজেপি-র দুই গোষ্ঠীর কর্মীদের মধ্যে৷ আগুন লাগানো হল বেশ কয়েকটি গাড়িতে৷ এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমানে৷ দলের আদি- নব্য কর্মীদের মধ্যে এই বিবাদের জেরে অশান্তি ছড়ায় গেরুয়া শিবিরে৷ বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, বিজেপি-র পতাকা হাতে নিয়ে তৃণমূল কর্মীরাই এই হামলা চালিয়েছে৷ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর দাবি, ‘তৃণমূল এই ধরনের রাজনীতি করে না, আমাদের দলনেত্রীও এসব পছন্দ করেন না৷ ওরা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে মরছে৷ এরকম আরও হবে৷ মুখ বাঁচাতে এখন তৃণমূলকে জড়াচ্ছে৷’

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে এ দিন সকাল থেকে৷ বর্ধমান জেলার পুরোনো বিজেপি কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, দলে নতুন কর্মীদের আগমনে তাঁদের গুরুত্ব কমেছে৷ এই কারণে দলে বর্ধমান অফিসের সামনে বিক্ষোভের প্রস্তুতিও চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে৷ এ দিন কিছু বিজেপি কর্মী গাড়ি, বাইক করে সকাল থেকেই বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে একত্র হয়৷ তারপরই শুরু হয় ইটবৃষ্টি পার্টি অফিস লক্ষ্য করে৷ ভিতরে ঢুকে শুরু হয় আসবাবপত্র ভাঙচুর৷ পাল্টা দলীয় কার্যালয়ের ছাদ থেকে ইটের টুকরো ছোড়া হয় হামলাকারীদের লক্ষ্য করে৷
এর পরই বিক্ষুব্ধ কর্মীরা যে গাড়িতে করে এসেছিলেন সেগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দলের অন্য গোষ্ঠী সদস্যরা৷ ভাঙচুর করা হয় বাইকও। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বও ঘটনাস্থলে হাজির হয়৷
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিজেপি-তে আদি- নব্যর ভেদাভেদ নেই৷ সবাই বিজেপি কর্মী৷ আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছি৷ দলে কোনওরকমের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত হবে না৷’