ভারতীয় অসামরিক বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ব্রিটেন সরকার। ইতিমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল গোটা বিশ্ব ।ওদিকে ব্রাজিলকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় সংক্রমিত দেশের স্থানে নিজের নাম লিখিয়েছে ভারত বর্ষ। এই পরিস্থিতিতে প্রায় দুবার ভারত সফর বাতিল করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস জনসন । ওদিকে গতকাল রাত্রে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ওই একই সফর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়েছেন ভারত সরকারকে। চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হওয়ায় ভারতের সঙ্গে জাপানের এই বৈঠক এক আলাদা গুরুত্ব রাখতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতে আসা সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যেতে চাইছেন সমস্ত দেশের প্রধানরা। বুধবার একটি সরকারি বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে সংক্রমনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভারতকে লাল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে ব্রিটেন। অর্থাৎ ভারত থেকে যে সমস্ত বিমান গুলি ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে সেই গুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ব্রিটিশ সরকার ।জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের হিথ্রো বিমান বন্দরের তরফে আগে থেকেই ভারত থেকে অতিরিক্ত বিমান চলাচল প্রত্যাখানের ব্যাপারে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। যদিও সে সময় পাসপোর্ট সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থাকার কারণে এই সিদ্ধান্ত খারিজ হয়ে গিয়েছিল সম্পূর্ণভাবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৩ শে এপ্রিল ভারতবর্ষের মাটিতে পদার্পণ করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস জনসন। মূলত আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতেই আসছিলেন তিনি। তবে এই পরিস্থিতিতে তা হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশ করা বুলেটিন অনুসারে দৈনিক সংক্রমণ ৩ লক্ষের বেশি। শেষ ২৪ ঘন্টায় মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ১০৪ জন। শেষ ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৪১ জন।
