
আজ থেকে সংসদে শুরু বাজেট অধিবেশন। বুধবার দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এদিন সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, মহামারীর সময় দেখেছিলাম যে পুরো বিশ্বে কীভাবে গরিব মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ভারত সরকার গরিব মানুষদের জন্য এগিয়ে এসেছিল। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা চালু করেছিল, যাতে গরিব মানুষদের খালি পেটে ঘুমোতে না হয়। আজ যে প্রকল্পের প্রশংসা করছে পুরো বিশ্ব। প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের কাছে ওই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে গিয়েছে। এদিন রাষ্ট্রপতির ভাষণে উঠে আসে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক থেকে সন্ত্রাসবাদের কথা। তিনি বলেন, ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা হোক বা সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ থেকে তিন তালাক রদ – এই সরকার গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এদিন আত্মবিশ্বাসের সুরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘২০৪৭ সালে এমন ভারত তৈরি করতে হবে, তা আত্মনির্ভর হবে’। তার কথায়, ‘যে ভারতে অতীতের সব গৌরবকথা থাকবে এবং আধুনিকতা থাকবে। যে ভারতে গরিব মানুষ থাকবেন না। যেখানে মধ্যবিত্তরা ভালো থাকবেন। দেশের যুবশক্তি দু’কদম এগিয়ে থাকবে। এমন ভারত আমাদের গড়তে হবে।’

পাশাপাশি, এদিন বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএয়ের সরকারের একটাই লক্ষ্য – ইন্ডিয়া ফার্স্ট, সিটিজেনস ফার্স্ট – সবার আগে দেশ, সবথেকে আগে দেশবাসী। সেই চিন্তাভাবনা ধরেই এগিয়ে যাওয়া হবে এবারের বাজেট অধিবেশনে। সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অস্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের বাজেট সাধারণ নাগরিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করবে। নির্মলা সীতারামন সেই আকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণের জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালাবেন বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস’।