নিউজ ডেস্ক: বাস্তু শব্দটির উৎপত্তি বস্তু থেকে। যে কোনো স্থানের বাস্তু ভেদ রয়েছে। চর্তুবেদে স্থাপত্যশিল্প কে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হত। আধুনিক যুগে তাকেই বাস্তুশাস্ত্র বলা হয়। ইদানিং কালে ঝা চকচকে আবাসন আর ফ্ল্যাট নির্মাণে বাস্তু শব্দটির খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তবে নিজের পরিবারকে নেগেটিভ শক্তি থেকে দুরে রাখার জন্য বাস্তু মানা খুব দরকার। বাস্তু মতে আমদের চারদিকে চার দেবতার অধিষ্ঠান। তাঁরাই আমাদের সুখ সমৃদ্ধির ধারক এবং বিপদ আপদের নাশক।
পূর্ব দিক: সূর্য উদয়ের দিক মানেই একটা নতুন সূচনা। পূর্ব দিকে পড়ার ঘর, ঠাকুর ঘর করা যেতে পারে।এমনকি এইদিকে রাখতে পারেন বাড়ির সিন্দুক বা আলমারি। মনে রাখবেন,এই দিকে দেবরাজ ইন্দ্রের বসবাস। তাই যতটা সম্ভব উন্মুক্ত করে রাখবেন এই দিক।
পশ্চিম দিক: এই দিক কে বরুণ দেবতার শুভ দিক হিসেবে গণ্য করা হয়। বাড়ির এই দিকে সিড়ি,জলের ট্যাংকি, স্টোর রুম তৈরি করতে পারেন।
উত্তর দিক: এই স্থান ধন দেবতা কুবেরের স্থান। তাই এদিকে আলমারি,সিন্দুক গয়নার বাক্স রাখতে পারেন। তবে কখনই এদিকে শৌচালয় বানাবেন না।
দক্ষিণ দিক: এদিকে কোনো শুভ কাজ না করাই শ্রেয়। এই দিককে জমের দুয়ার বলে মানা হয়। তাই কখনোই এদিকে রান্নাঘর বা ডাইনিং রুম বানাবেন না।
ঈশান দিক: এই দিকে পুজো আচড়া করা খুব শুভ। এই দিকটিতে মহাদেবের স্থান হিসেবে মানা হয়। কিছুটা ফাঁকা রাখুন এই স্থান। আপনার বাড়ির ঈশান কোণের ভালোমন্দ নির্ভর করে আপনার বংশবৃদ্ধির উপর।
নৈঋত কোণ: এই দিক আপনাকে দানবদের হাত থেকে রক্ষা করে। এইদিকে কখনো জলের ট্যাংক বা জল ভরতি পাত্র রাখবেন না।
অগ্নি; অগ্নিদেবের অধিষ্ঠান এই দিকে। এখানে কখনোই রান্নাঘর,বাথরুম তৈরি করবেন না।
বায়ু: এই দিক পবন দেবের। তিনি আপনাকে সুস্থ ও সবল রাখতে সহায়তা করবেন। পরিবারের মানুষের সঙ্গেও সু সম্পর্ক বজায় থাকবে। তাই এইদিকে বৈঠকখানা,হল ঘর , খাবার ঘর করতে পারেন।