করোনা আবহে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তৃনমুল বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট এবং সেলেব্রিটি প্রার্থীদের মোবাইল ফোন নাম্বার। আর তাতেই বেজায় চটেছেন রাজ চক্রবর্তী। কারণ সেই নাম্বারের তালিকায় রয়েছে তাঁর নামও। শুধু তিনিই নন,মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, বৈশালি ডালমিয়া, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে কাঞ্চন মল্লিক, জুন মাল্য, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত, বাবুল সুপ্রিয় এবং পার্নো মিত্রদের মতো তারকা প্রার্থী বাদ জাননি কেউই। একটি ফেসবুক পোস্টে তাঁদের নাম্বার শেয়ার করে বলা হয় “যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করার জন্য এত কষ্ট করে ভোটে দাঁড়িয়েছেন,এই বিপদের দিনে যে কোনো সমস্যায় মানুষ নিজেই ফোন করুক তাঁদের।
ব্যারাকপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রাজের দাবি, সিপিএম-এর কোনও সদস্যই করেছেন এই কাজ। বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে এমনটাই খবর পেয়েছেন বলে দাবী করেন তিনি। পরিচালকের কথায়, “সিপিএমকে সারা জীবন একটা শিক্ষিত, রুচিশীল দল বলেই দেখে এসেছি। তারা এ রকম কাজ করতে পারে, এটা আমার কাছে খুবই আশ্চর্যজনক। এমনকি ইন্ডাস্ট্রির অনেক সিপিএম সমর্থকও এই ঘটনাটিকে সমর্থন করছেন।” রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজার ফোন এসেছে তাঁর কাছে। বর্তমানে ফোন বন্ধ রেখে সমাধানের পথ খুঁজছেন রাজ। এক নেটিজেন প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বরের তালিকাটি ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলেন। তার পর সেটি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেন পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্য। মানুষের কাজ করতে পারছিলেন না বলে যাঁরা ‘অনুযোগ’ করেছিলেন, তাঁদের সাহায্য করতেই নাকি এই পোস্ট করেন তিনি। এর সঙ্গে নেটাগরিকদের নিজেদের সমস্যা এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের খুলে বলার নিদান দিয়েছেন। সব শুনে কে কেমন সারা দিল, সে কথাও জানাতে বলেন পরিচালক। তবে বাবুল এবং পার্নো করোনা আক্রান্ত হওয়ায়, তাঁদের ‘বাদ’ রাখার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
আর এভাবে ব্যক্তিগত নাম্বার এক্কেবারে রাতারাতি ভাইরাল হওয়াতেই চটেছেন রাজ। বাকি প্রার্থীদের কোনো প্রতিক্রিয়া অবশ্য এখনও পাওয়া যায়নি।