নিম্নচাপ জনিত টানা বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ার সবকটি নদীতেই জলস্তর বাড়ছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ।শুক্রবার সকালে সিমলাপালের ভেলাইডিহায় গিয়ে দেখা গেল শিলাবতী নদীর কজওয়েটি জলের তলায়। জানা যাচ্ছে, সিমলাপাল ব্লক এলাকার লক্ষীসাগর, পার্শ্বলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্তত ৩৫ টি গ্রামের সঙ্গে বাঁকুড়া শহর সহ বহির্জগতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ বা অন্যান্য বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যেতেও সমস্যায় পড়তে হবে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। সব মিলিয়ে চরম সমস্যায় ভুগছে বাঁকুড়ার একাধিক অংশের মানুষ। প্রশাসনের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা অস্থায়ী ভাবে তৈরি নদীর ওপর কজওয়েগুলির সমস্যা সমাধানের জন্য বারবার অভিযোগ জানালেও কোন সুরাহা মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা এবার কজওয়ের পরিবর্তে উঁচু সেতু নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে রাস্তায় ।
শহরের পাশাপাশি জেলাজুড়ে ও ভারী বর্ষণে ডুবল একাধিক নদীর উপর তৈরি হওয়া অস্থায়ী কজওয়ে। আবার বীরভূম জেলার ব্রাহ্মণী নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় অস্থায়ী কজওয়ে জলের তলায় ডুবে গেছে। ফলে শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে দেবগ্রাম, সোনার কন্যা এবং ভগবতীপুর এর গ্রামের বাসিন্দাদের।রামপুরহাট নলহাটি থানা সংলগ্ন এলাকা তো একই চিত্র ধরা পড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় রামপুরহাট মহাকুমা ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।