স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৮ তম জন্মবার্ষিকী। এই উপলক্ষ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বড়িশা স্বামীজি অ্যাকাদেমির পক্ষ থেকে পালন করা হল স্বামীজীর জন্মবার্ষিকী। এদিন সকালে বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান করেন সংগঠনের সদস্যরা। পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই সকাল থেকেই বিবেকানন্দর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়। নাচ, গান, আবৃত্তি, বক্তৃতার মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণ করা হয়।
এদিন বাঁকুড়াতে পালিত হয় বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী। মঙ্গলবার রাজ্যের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দফতর, বাঁকুড়া পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে বিবেক চেতনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে পৌরসভা থেকে শহরের বিবেকানন্দ উদ্যান পর্যন্ত পদযাত্রা করা হয়। পদযাত্রা অংশ নেন অসংখ্য মানুষ। পরে স্বামীজির আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা।
জেলার কোতুলপুর বিবেকানন্দ ক্লাবের পক্ষ থেকেও সারা দিন ব্যাপী বিবেক উৎসবের আয়োজন করা হয়। এদিন সকালে শঙ্খধ্বনি ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রী শ্রী মা সারদা ও স্বামীজির পূজাপাঠের পাশাপাশি অঙ্কন প্রতিযোগীতা, রক্তদান শিবির, যোগাসন, জিমন্যাস্টিক প্রদর্শনী, ধর্মসভা সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
জেলার পাশাপাশি কলকাতাতেও পালিত হল স্বামীজির জন্মবার্ষিকী। এদিন স্বামীজির সিমলা স্ট্রীটের পৈতৃক বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় যুব দিবস। তবে করোনার কারণে এবছর বহু বিধিনিষেধ জারি করা হয়। রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক আবাস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পক্ষে আগেই জানানো হয়েছিল, এবছর শুধুমাত্র স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান করা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। সেইমত সকালে দুরত্ব বিধি মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এবছর বাদ দেওয়া হয় শোভাযাত্রা।