চতুর্থ দফায় বৈঠক নিষ্ফল হাওয়ায় কৃষকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল ট্রাক্টর মার্চের আকার হবে আরও বড়। সুপ্রিমকোর্টে তরফ থেকে শুনানি শোনানো হয়েছিল গতকাল । সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে আপাতত কৃষি আইনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া দরকার । যদি কেন্দ্র সেই কাজ না করে তাতে সুপ্রিম কোর্টকেই হস্তক্ষেপ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। শুধু দিল্লিতেই নয় পাশাপাশি হরিয়ানাতে ওই একই দিনে ট্রাক্টর মিছিল বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকেরা, ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তার প্রস্তুতি। রাজ্যের প্রতিটি ছোট ছোট গ্রাম থেকে ন্যূনতম একটি করে ট্রাক্টর আনার জন্য আবেদন করা হয়েছে, কৃষক প্রতিনিধিদের ধারণা ঐদিন প্রায় কুড়ি হাজার ট্রাক্টর নিয়ে করা হবে এই মার্চ। তবে এ বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে কৃষকদের এই আবেদন নাকচ করে দেওয়ার। কারণ ২৩ শে জানুয়ারি কুচকাওয়াজের রিহার্সেল , পাশাপাশি ২৮শে জানুয়ারি সারা শহর জুড়ে শোভাযাত্রা করবেন ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর ৩০ জানুয়ারি পালিত হবে শহীদ দিবস। তবে কৃষকদের এই আন্দোলনের জেরে বিঘ্ন ঘটবে এই সকল অনুষ্ঠানেই। তাতে ভারতীয় আইন ব্যবস্থা সহ ছাপ পড়বে ভারতীয় জনজীবনে।

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নিজেদের উদ্দেশ্যে সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে কৃষি আইন কোন হঠকারিতা নয় বরং দুই দশক ধরে বিবেচনা করে এই আইন তৈরি করা হয়েছে। তাতে খুশি হয়েছেন কৃষকরাও পাশাপাশি তারাও সুযোগ পাচ্ছেন আরো বেশি পরিমাণে নিজেদের কৃষিজাত দ্রব্য বিক্রি করার। তাহলে কেন এই আন্দোলন? উত্তরে কেন্দ্র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কৃষক এবং কেন্দ্রের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি দূর করার চেষ্টা করছে সরকার।