সামনেই ছট। অথচ মাথায় হাত পড়েছে দক্ষিণ কলকাতাবাসীর। দক্ষিণ কলকাতায় বসবাসকারী বিহারী মহিলারা রবীন্দ্রসরোবরে নিজেদের ছটের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন প্রতিবছর। তবে গত কয়েকদিন আগের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে রবীন্দ্র সরোবরের জলে ভয়াবহ দূষণ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। দূষণের মাত্রা এতটাই যে জলে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বহু মাছের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। আর সেই কারণেই সরকারি নির্দেশ অনুসারে, রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে ছট পুজো করা নিষিদ্ধ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে বিপুল পরিমাণে মাছের মৃত্যু ঘটে। আর তারপরই জলের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয় কলকাতা পুরসভার তরফে। সেই পরীক্ষার ফলাফল অনুসারেই জানতে পারা গিয়েছে, জলে অক্সিজেনের মাত্রা ক্রমাগত কমতে শুরু করেছে। আর সেই কারণেই আগত ছট উৎসবে এই দুই সরোবরের দরজা বন্ধ করা হতে চলেছে। এছাড়াও যাতে কেউ রবীন্দ্র সরোবরের জলে ছটের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে না পারেন ,তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতবারই দেশের শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে এই দুই সরোবরে উৎসব উদযাপনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে সেই নির্দেশ পালন করেননি দর্শনার্থীরা। আর সেই কারণেই পুলিশের সামনে দিয়ে মিছিল করে ছট পূজা উদযাপন করেছিলেন তাঁরা। মূলত ভারতীয় সংবিধান অনুসারে কোনও নির্দিষ্ট ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া অসাংবিধানিক, আর সেই কারণেই কোন কিছুই করা সম্ভব হয়নি সেই সময়। তবে এবার সরকারি তরফে এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছট পুজো করতে যাতে পূণ্যার্থীদের কোনও সমস্যা না হয় সেই কারণে আগামী ১০ এবং ১১ ই নভেম্বর কলকাতা পুরসভা এবং কেএমডিএ যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্র সরোবরের পার্শ্ববর্তী মোট ৩৯ টি জলাশয় ও ঘাট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দর্শনার্থীদের সুবিধামত স্নানের পর পোশাক পরিবর্তনের জায়গা এবং অস্থায়ী বাথরুম নির্মাণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এই অস্থায়ী ঘাটগুলোতে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে । প্রয়োজনীয় আলো থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও সরঞ্জাম উপস্থিত রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।