বিশ্বজুড়ে প্রায় দেড় বছর ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস নামক এক ক্ষুদ্র অণুজীব। দেশে ইতিমধ্যেই করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউ প্রাণ কেড়েছে হাজার হাজার মানুষের। তবে এর পর করোনার তৃতীয় ঢেউ শিশুদের ওপর তুলনামূলকভাবে বেশি ভয়ানক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই শোনা যাচ্ছে চিকিৎসকমহল সূত্রে। এদিকে দেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকাকরণ শুরু হলেও শিশুদের টিকা নিয়ে বিশেষ কোনো ঘোষণাই এতদিন করা হয়নি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। তবে আর দেরী নয়, শিশুদের টিকাকরণে আর বেশি দেরী নেই বলেই জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্সুখ মান্ডব্য। বিজেপি সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান আগামী আগস্ট মাস থেকে শিশুদের টিকাকরন শুরু করার কর্মসূচি নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ দেশের সমস্ত স্কুল-কলেজ। এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত শিশু টিকাকরণ সম্ভব তত দ্রুতই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করে পড়াশোনায় গতি আনা সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এই পরিস্থিতিতে দেশের শিশুদের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা এই দুটো বিষয়ে নজর দিতেই কেন্দ্রীয় সরকার শিশু টিকাকরণে তড়িঘড়ি উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। যদিও কবে শুরু হবে ভ্যাকসিনেশন সেই ব্যাপারে এখনো কোনো সঠিক দিশা মেলেনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ইউরোপে ১২ বছরের উর্ধ্বে এর সমস্ত কিশোর-কিশোরীদের মডার্ণা কোম্পানির ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মে মাসে আমেরিকাতে ফাইজার বায়োএন্টেকের ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল বাইডেন সরকার। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে, ভারতেও শিশুদের টিকাকরণ শুরুতে বেশি দেরী নেই। কিছুদিন আগেই এআইআইএমএস এর প্রধান দপ্তর রন্দীপ গুলেরিয়া জানিয়েছিলেন জাইডাস এর ভ্যাকসিনে ট্রায়াল’ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে এবং এর ফলাফল বেশ পজেটিভ। এছাড়াও, ভারত বায়োটেক এর কোভ্যাকসিন এর ট্রায়াল’ প্রায় শেষের পথে। ইতিমধ্যেই ফাইজার এর ভ্যাকসিন অনুমোদিত হয়ে গিয়েছে এফডিএ দ্বারা। তাই তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে শিশুদের টিকাকরন শুরু হয়ে যাবে সারা ভারতে।