নিজস্ব সংবাদদাতা, সল্টলেকঃ রবিবার অধীর চৌধুরী ও বিমান বসু নেতৃত্বে ব্রিগেডে সাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ জোট একটা খিচুরি করেছে, যেখানে সবচেয়ে বড় নেতা ছিলেন আব্বাস সিদ্দিকী। বাকিরা সবাই ফিকে। সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জোটের ব্রিগেড প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 2011 সালে ব্রিগেডে ঐতিহাসিক সভা করেছিল সিপিআইএম, তার পরিণাম কি হয়েছিল সবাই জানে। 2019 সালে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এবারেও তাই হবে। পশ্চিমবাংলার মাথার ওপর কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশে তৈরি করার সেটাও এরা তৈরি করার কম্পিটিশন করছে কত তাড়াতাড়ি পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ তৈরি করা যায়।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, এর আগেও গ্যাসের দাম বেড়েছে অনেকবার কমেছেও। এই বেড়ে যাওয়া ও কমে যাওয়াটা সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করে। সরকার এই ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি বলেন, 2019 সালে সবচেয়ে আগে লিস্ট বের করেছিল কিন্তু রেজাল্ট দেখা গেল এক ডজন সিট কমে গেছে। প্রার্থী তালিকা আগে আগে ঘোষণা করা যাদের ক্ষমতায় আছে তারা ঘোষণা করে তাতে খুব বেশি লাভ হবে হবে না।বিজেপি প্রার্থী তালিকা কবে বের করছে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে তিনি জানান সময়ে প্রকাশিত হবে। চিন্তাভাবনা চলছে।
নিমতায় বিজেপি কর্মী আক্রান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক জায়গাতেই আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপি। সম্প্রতি কাদাপাড়াতে পরিবর্তন যাত্রার সমস্ত গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে, এলইডি টিভি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এভাবে বিজেপিকে ভয় দেখানো, ক্ষতি করা এবং অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে ওরা হেরে বসে আছে। এসবের যোগ্য জবাব আমরা মাঠে দেব। দরকার পড়লে আদালতে যাবো। পুলিশি সহযোগিতায় নেওয়ার চেষ্টা করব।