পড়ুয়াদের সাথে অধ্যক্ষের বিবাদ বারবারই প্রকাশ্যে এসেছে আর জি কর হাসপাতালকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি পড়ুয়াদের তরফে আন্দোলন দেখানো শুরু হয় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ একাধিক দাবিতে । আন্দোলনের সময়ই অধ্যক্ষ তাদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন এমনই অভিযোগ করা হয় পড়ুয়াদের তরফে । এই তথ্যের সত্যতা প্রকাশ করতে পড়ুয়ারা একটি ভিডিয়ো সামনে আনেন । গত ৯ অক্টোবর এই ঘটনাকে ঘিরে হাসপাতাল চত্বর দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । এরপর থেকে আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি পাল্টে যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৯ অক্টোবর ডাক্তারি পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখান রাতভর প্রিন্সিপ্যালকে ঘরে রেখে। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা রাত থেকেই অধ্যক্ষ ও সুপারকে ঘেরাও করেন । এমনকি হাসপাতাল থেকে অধ্যক্ষ ছুটতে ছুটতে বেরিয়ে গিয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠেন। সেই সময় পড়ুয়ারাও তার পিছনে ছুটে যায়। এরপর ১০ই অক্টোবর ঠিক ভোর পাঁচটা নাগাদ এই ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে প্রিন্সিপ্যাল হেনস্থা অভিযোগ তোলেন । তারপরেই ১৪ অক্টোবর প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে আর জি করের পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে বহিরাগতদের আক্রমণ হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের উপস্থিতিতে তিন ডাক্তারি পড়ুয়ার গায়ে হাত তোলা হয়।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করেছে আর জি করে অনশনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের । বর্তমানে সাত জনের মধ্যে, ৩ অনশনকারীর ইউরিন টেস্টে অ্যালবুমিন এবং কিটোন বডি পজিটিভ। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও রোগীদের কথা মাথায় রেখে জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে এক্ষেত্রেও।