করোনা সংক্রমণে দ্বিতীয় ধাক্কা বেশ কিছুটা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি রাজ্য। আর এই পরিস্থিতিতে কোনও রকম কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন। সংক্রমণ এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। সংবিধান কোন নির্দিষ্ট ধর্মের অনুষ্ঠানকে বাধা দেওয়ার পক্ষপাতি নয়। আর সেই কারণেই সাধারণ মানুষকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও একবার অবগত করতে এবং কোনো রকম কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যাতে না ঘটে সেদিকে নজর দিতেই এই আলোচনা সভা ডাকা হল দুবরাজপুরে। জানা যাচ্ছে আজ বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই করোনা অতিমারীর জন্য বার বার মানুষকে সচেতনও করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই গত বছরের মত এবছরও মহরমে শোভাযাত্রা বের করা হবে না। আজ বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবং দুবরাজপুর থানার পক্ষ থেকে দুবরাজপুর থানা এলাকা এবং শহরের মহরম কমিটির সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজকের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি (ক্রাইম) সেখ ফিরোজ হোসেন, দুবরাজপুর থানার সার্কেল ইন্সপেক্টর আস্তিক মুখার্জী, দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেন, দুবরাজপুর পৌরসভার প্রশাসক পীযূষ পাণ্ডে, এডমিনিস্ট্রেটর বোর্ডের সদস্য মির্জা সৌকত আলী, দুবরাজপুর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও মির সহেল শাখাওয়াত, ইসলামপুর উৎসবে কমিটির সভাপতি সেখ নাজির উদ্দিন সহ দুবরাজপুর শহর ও থানা এলাকার মহরম কমিটির সদস্যরা। এদিন সেখ নাজির উদ্দিন জানান,” আমরা সরকারের নির্দেশ মেনে চলব, এবং ৫০ জনের বেশী জমায়েত করা যাবে না। আমরা আচার অনুষ্ঠান আস্তানার মধ্যেই করব। পাশাপাশি আমরা গত বছর যেভাবে মহরম পালন করেছিলাম সেই ভাবেই এবারেও পালন করব। আগে যেমন মহরমের দিন পুরো শহরজুড়ে একটি শোভাযাত্রা বের হত, লাঠি খেলার একটা আখড়া হত। কিন্তু এবারে তা হবে না, কারন এগুলো হলেই ভীড় বাড়বে। আমরা মঞ্জিলের দিন অর্থাৎ মহরমের দিন সদর রাস্তায় আস্তানার সামনে প্রতীকী হিসাবে তাজিয়া গুলোকে রাখব।”