উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে বিভ্রান্তি, ফেল করলেন আরামবাগ গার্লস স্কুলের একাধিক ছাত্রী। তারপরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সমস্ত ছাত্রী সহ অভিভাবক অভিভাবিকারা। আর সেই বিভ্রাট কাটতে না কাটতেই ২৪ ঘণ্টার মাথায় নয়া রেজাল্ট পেলেন ছাত্রীরা। জানা যাচ্ছে, মূলত ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের এই বিভ্রাটের জেরে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হন স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ছাত্র-ছাত্রীদের এই অসন্তোষের কারণ সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা মাত্রই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজাল্ট এসে পৌঁছয় স্কুলে। এই শংসাপত্রের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে আগের থেকে বেশি নাম্বার দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত রাজ্যে এই প্রথম এই ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজ্যবাসী। সম্ভবত এই প্রথম সংশোধিত শংসাপত্র পাঠানো হয়েছে কোন স্কুলে।

কর্মকারের কঠিন পরিস্থিতির কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা নিতে পারেননি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তবে গত দুটি শ্রেণীর নাম্বারের ভিত্তিতেই নাম্বার দিয়ে পাস করানো হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের। তবে সেক্ষেত্রে যদি কোনো ছাত্রছাত্রী নাম্বারের সন্তুষ্ট না হন তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা দিতে পারেন। যদিও সেক্ষেত্রে পরবর্তী পরীক্ষা নেওয়া হবে করোনার পরিস্থিতি মোকাবেলার পরে। পাশাপাশি যে সমস্ত বিদ্যালয়ের শংসাপত্র সম্বন্ধিত সমস্যা হচ্ছে সেই সমস্ত বিদ্যালয় গুলিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সংসদে আবেদন পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। আজ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে আশা এই পরিবর্তিত শংসাপত্রের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত নাম্বারে রীতিমতো খুশির জোয়ারে ভাসছেন আরামবাগ গার্লস স্কুলের ছাত্রী এবং অভিভাবকরা।