বিতর্কিত ‘রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনের’ জন্য বরাবরই চর্চায় থাকে কিমের উত্তর কোরিয়া। এমনিতেই বহির্বিশ্বের জগতের সঙ্গে মেলবন্ধন কম, ফের কঠোর নিদান দিলেন নেতা কিম জং উন।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বহির্বিশ্বের সঙ্গে পুরোপুরী ভাবে সম্পর্ক ছেদ করতে এবার বিদেশী গানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কিম। শুধু তাই নয়, ভিনদেশী গালি দিলে মৃত্যুদণ্ডের নিদান পর্যন্ত দিয়েছে কিম সরকার।
উল্লেখ্য, গত বছরই এদেশে ২২ বছরের এক যুবককে কেবলমাত্র বিদেশি গান শোনার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এমনকি সেই মৃত্যুদণ্ড প্রকাশ্যে কার্যকর করা হয়। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি ৭০টি বিদেশি গান শুনেছেন। ৩টি বিদেশী ছবি দেখেছেন। শুধু তাই নয়, ওই ছবিগুলো অন্যদের মধ্যে নাকি শেয়ারও করেছিলেন ওই যুবক। যদিও কিম প্রশাসন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়া’কে পুরোপুরিভাবে আলাদা করার জন্য নানান ফন্দি আঁটতে থাকেন কিম। দক্ষিণ কোরিয়া’কে বিদেশী ট্যাগ পর্যন্ত দিয়েছেন। তাই দক্ষিণ কোরিয়া’তে চল আছে এমন সব জিনিসে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছেন কিম। সম্প্রতি সাদা রঙের বিয়ের পোশাক নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেখানে। মূলত বিয়ের অনুষ্ঠানে কনেকে সাদা গাউন পরতে দেখা যেত। সেটা আর চলবে না।
কিম প্রশাসনের বক্তব্য, বিয়েতে কনের সাদা পোশাকের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান সংস্কৃতির প্রভাব। বিদেশী প্রভাব ঠেকাতে তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশে নিজস্ব সংস্কৃতি পালন করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কিম।
শুধু বিয়ের পোশাকেই নয়, বিয়ের রীতিতেও লাগু হয়েছে কিম-ই-আইন। সেখানের প্রচলিত প্রথা ছিল, বিয়ের দিন কনেকে কাঁধে তুলে নেন বর। এই রীতিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দাবি, এতেও রয়েছে দক্ষিণী প্রভাব।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, বিয়ের অনুষ্ঠানে সব ধরনের আড়ম্বর নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন কিম। জানিয়েছেন, বিয়ে সাধারণ একটি সামাজিক রীতি। এতে আনন্দের কিছু নেই। বিয়েতে আচার-অনুষ্ঠান দক্ষিণী সংস্কৃতি বৈকি কিছু নয়।