সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। প্রতিটি রাজ্যেই হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এমত অবস্থায় হাসপাতালগুলিকে সচল রাখতে এবং পরিস্থিতি খানিকটা সামাল দিতে ছয় দিনের লকডাউন জারি করেছে দিল্লি সরকার। আর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের এই ঘোষণার পরই ছয় দিনের পর্যাপ্ত মদ জোগাড় করে রাখার জন্য রাজধানীর মদের দোকানগুলিতে উপচে পড়েছে মানুষের ভিড় ।
দিল্লির শিবপুরী গীতা কলোনিতে মদের দোকানের বাইরে লম্বা লাইনের এক মহিলার স্পষ্ট জবাব, “এইসব ভ্যাকসিনে কিছু হবে না। একমাত্র মদেই করোনা সারবে। আমি ৩৫ বছর ধরে মদ্যপান করছি। একদিনের জন্য কোনও ইনজেকশন নিতে হয়নি। রোজ দু পেগ করে নিয়ে নিই। ব্যাস, সব করোনা চলে যায়।” মহিলা আরও বলেন “লকডাউন হলেও মদের দোকান বন্ধ রাখা উচিত নয়। বরং মদ খেলেই হাসপাতালগুলি আর এভাবে উপচে পড়ত না।” এই মহিলার মতো লাইনে দাঁড়ানো অধিকাংশই মনে করছেন, যারা মদ খান, তাঁদের শরীরে মারণ ভাইরাস থাবা বসাতে পারে না।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান গোটা দিল্লিতে আর মাত্র ১০০ ICU বেড রয়েছে। পর্যাপ্ত অক্সিজেনেরও অভাবও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। করোনার দৈনিক সংক্রমণের চেন ভাঙতেই রাজ্য জুড়ে ছয় দিনের জন্য জারি ১৪৪ ধারা। আজ অর্থাৎ সোমবার রাত ১০টা থেকে আগামী সোমবার সকাল পাঁচটা পর্যন্ত লাগু থাকবে লকডাউন। এর মধ্যেও সাধারণ মানুষের এমন চরম অসচেতনতা এবং হাল ছাড়া ভাবে কার্যতই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।